ভাষাও সংস্কৃতি: সাহিত্য এবং সংস্কৃতি চেতনার বহিঃপ্রকাশ । এই প্রকাশ নানা ভাবে,নানা খাতে প্রবাহিত হয়। সাহিত্য-সংস্কৃতির ধারা একদিনে গড়ে উঠে না । যুগ-যুগান্তরের মিলন ও একাত্মতা একে সার্থক ও সমন্মিতকরে ।বিভিন্ন জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়নে তা লক্ষ্য করা যায় । তদ্রূপ পূর্ব পাগলা ইউনিয়নও এর ব্যাতিক্রম নয়। এ ইউনিয়নের প্রধান ভাষা বাংলা। পূর্বপাগলা ইউনিয়নে প্রধানত: মুসলিম ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকের বসবাস। ঈদ-উল ফিতর, ঈদ-উল আযহা মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব । হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা, কাত্যায়নী পূজা, শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী ইত্যাদি । এছাড়া বাংলা ও ইংরেজী নববর্ষে ইউয়নের বিভিন্ন স্কুল ও ইউনয়ন বাসী ঝাঁকজমক ভাবে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আবহমান কাল হতে নববর্ষ পালন করে আসছে। যদিও আধুনিকতার ছোঁয়া এ ইউনিয়নবাসীকে উদ্বেলিত করেছে তবুও ইউনিয়ের হাটে ,মাঠে , ঘাটে পালাগান, লোকগীতি, জারী,সারি গানের আসর বসে থাকে। এছাড়াও বৈদিক ধর্মের অনুসারিগণ পূজা উপলক্ষে প্রতি বছর চৈত্রমাসে কির্তন পরিবেশন করেন । আবহমান কালের চিরায়ত প্রবাদ মাছে-ভাতে বাঙালী । তাই এ ইউনিয়নের প্রধান খাবার মাছ, ভাত, মাংস, ডাল -সব্জি ইত্যাদি । নবান্নে পিঠে, পুলি, পায়েসের ধূম পড়ে । এ ইউনিয়ের লোকজন খুবই প্রাণবন্ত, অতিথি বৎসল ও সহজ- সরল।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS